Start of ক্রিকেটের ভদ্রতা ও শিষ্টাচার Quiz
1. একজন ক্রিকেটারকে অধিনায়ক, সতীর্থ, প্রতিপক্ষ এবং আম্পায়ারদের প্রতি কি ধরনের সম্মান দেখাতে হয়?
- অন্য সতীর্থের সঙ্গে আলোচনা না করে একা খেলুন।
- অধিনায়ককে অমান্য করুন এবং সতীর্থদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করুন।
- সবসময় অধিনায়ক, সতীর্থ, প্রতিপক্ষ, আম্পায়ার এবং খেলার প্রথাগত মূল্যবোধের প্রতি সম্মান দেখান।
- প্রতিপক্ষের প্রতি অপমানজনক আচরণ করুন এবং আম্পায়ারদের হেনস্থা করুন।
2. বিজয় এবং পরাজয়ে একজন ক্রিকেটারের আচরণ কেমন হওয়া উচিত?
- বিজয়ে গর্বিত এবং পরাজয়ে বিরক্ত হতে হবে।
- বিজয়ে আত্মবিশ্বাসী এবং পরাজয়ে নম্র হতে হবে।
- বিজয়ে শান্ত এবং পরাজয়ে উত্তেজিত হতে হবে।
- বিজয়ে উত্সাহিত এবং পরাজয়ে হতাশ হতে হবে।
3. সাংকেতিকভাবে প্রতিপক্ষ এবং আম্পায়ারদের জন্য বাড়ির দলে কি ধরণের পরিবেশ তৈরি করা উচিত?
- একটি বিভ্রান্তিকর এবং চাপের পরিবেশ তৈরি করা উচিত।
- প্রতিপক্ষ এবং আম্পায়ারদের জন্য একটি অতিথিপরায়ণ পরিবেশ তৈরি করা উচিত।
- একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং কঠোর পরিবেশ তৈরি করা উচিত।
- একটি প্রতিযোগিতামূলক এবং টেক্কা পরিবেশ তৈরি করা উচিত।
4. মাঠে এবং মাঠের বাইরে নিজ নিয়মাবলী দেখাতে একজন ক্রিকেটার কি করবেন?
- মাঠে এবং মাঠের বাইরে স্ব-শৃঙ্খলা প্রদর্শন করুন।
- উম্পায়ারকে অবজ্ঞা করুন বা বিরক্ত করুন।
- আপনার সতীর্থ এবং প্রতিপক্ষের সঙ্গে অশোভন আচরণ করুন।
- খেলার প্রতি অসম্মান দেখান।
5. একজন ক্রিকেটারের পোশাক ও যন্ত্রপাতি কেমন হয়?
- একজন ক্রিকেটারের পোশাক এবং যন্ত্রপাতি সহজেই ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়া উচিত।
- ক্রিকেটারের পোশাক ও যন্ত্রপাতি অবশ্যই পরিষ্কার, সুশৃঙ্খল এবং সঠিকভাবে পরা উচিত।
- ক্রিকেটারের পোশাক সাধারণত গরম এবং অস্বস্তিকর হয়।
- ক্রিকেটের পোশাক সবসময় নোংরা এবং এলোমেলো হতে পারে।
6. একজন ক্রিকেটারকে খেলার সাথে যুক্ত কর্মীদের প্রতি কিভাবে কৃতজ্ঞতা জানাতে হবে?
- সরাসরি মুখোমুখি সমালোচনা করা উচিত।
- খেলার কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত।
- তাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত নয়।
- শুধু প্রশংসা করলেই হবে।
7. ম্যাচ এবং প্রশিক্ষণ সেশনের জন্য সময়ানুবর্তিতা কেমন হওয়া উচিত?
- সময়মতো আসার প্রয়োজন নেই।
- ম্যাচের জন্য বিলম্বিত হওয়া স্বাভাবিক।
- সাধারণত সময়মত আসার প্রয়োজন হয় না।
- সর্বদা সময়মতো ম্যাচ এবং প্রশিক্ষণ সেশনে আসা উচিত।
8. ম্যাচ শেষে প্রতিপক্ষ এবং আম্পায়ারের সাথে একজন ক্রিকেটারের কি ধরনের মিথস্ক্রিয়া থাকা উচিত?
- প্রতিপক্ষের সাথে হাত মেলানো এবং আম্পায়ারকে ধন্যবাদ জানানো।
- স্থানীয় দলের সাথে জোরে হেসে কথা বলা এবং আম্পায়ারকে অসম্মান করা।
- ম্যাচ শেষে প্রতিপক্ষের সাথে তর্ক করা এবং আম্পায়ারকে অবজ্ঞা করা।
- প্রতিপক্ষের সাথে একত্রিত হয়ে হাস্যরস করা এবং আম্পায়ারকে বIgnored করা।
9. দিনের খেলার পরে সামাজিক স্কেলের মধ্যে কি করা উচিত?
- দিনের খেলার পরে দলের ক্যাপ্টেনের সাথে গোলাপী ফুল উপহার দেওয়া উচিত।
- দিনের খেলার পরে বাড়িতে ফিরে বীজ সঞ্চালনে আলোচনা করা উচিত।
- দিনের খেলার পরে শুধুমাত্র আম্পায়ারদের ধন্যবাদ জানানো উচিত।
- দিনের খেলার পরে সামাজিক স্কেলে দলের সতীর্থ, প্রতিপক্ষ এবং আম্পায়ারদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত।
10. ফিল্ডারদের মাঠে প্রবেশ করার নিয়ম কি?
- আম্পায়ারের বিরুদ্ধে চি quat করা যাবে।
- মাঠে আম্পায়ারের পরে এবং অধিনায়কের পেছনে প্রবেশ করতে হবে।
- মাঠে আগে প্রবেশ করা যাবে।
- খেলোয়াড়দের নিজেদের ইচ্ছা মতো প্রবেশ করতে হবে।
11. ডেলিভারি পাল্টানোর ক্ষেত্রে ফিল্ডারদের কি করতে হবে?
- তরুণ খেলোয়াড়দের প্রশংসা করা
- বল ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে দেরি করা
- মাঠের বাইরে অপেক্ষা করা
- ক্যাপ্টেনের দিকে লক্ষ্য রাখা
12. ফিল্ডাররা বলটি বোলারের কাছে কিভাবে ফিরিয়ে দেবে?
- বলটি দ্রুত ফিরিয়ে দিন
- বলটি তুলে নিয়ে অপেক্ষা করুন
- বলটি মাঠের মাঝে ফেলুন
- বলটি ধীর গতিতে ফেরান
13. ফিল্ডারদের কি এড়িয়ে চলা উচিত?
- খেলার সময় একজন দর্শককে ঘুষ দেওয়া উচিত।
- অযথা মন্তব্য বা কার্যকলাপ এড়িয়ে চলা উচিত।
- প্রতিপক্ষের জন্য অতিরিক্ত উৎসাহ প্রদান করা উচিত।
- উদাহরণ হিসেবে অন্য দলের খেলোয়াড়কে বিব্রত করা উচিত।
14. বোলারদের আম্পায়ারের সাথে মিথস্ক্রিয়া কেমন হওয়া উচিত?
- উম্পায়ারের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আপত্তি জানান।
- সবসময় ধন্যবাদ বলুন এবং শান্তিতে কথোপকথন করুন।
- বিনয়হীনভাবে কথা বলুন।
- উম্পায়ারের উপর চাপ সৃষ্টি করুন।
15. ব্যাটসম্যানরা মাঠে প্রবেশ করার সময় কি করবেন?
- মাঠে প্রবেশের আগে ক্যাপ্টেনের পিছনে আসুন
- মাঠে প্রবেশের আগে অপোনেন্টদের সাথে কথা বলুন
- মাঠে প্রবেশের আগে স্বল্প আরাম করুন
- মাঠে প্রবেশের আগে ম্যাচের ফলাফল নিয়ে আলোচনা করুন
16. ব্যাটসম্যানদের আম্পায়ারের সাথে কিভাবে আচরণ করতে হবে?
- আম্পায়ারদের সাথে প্রচণ্ড চিৎকার করা।
- যখন ইচ্ছা শিষ্টাচার ভঙ্গ করা।
- সবসময় সম্মান দেখাতে হবে আম্পায়ারদের।
- আম্পায়ারদের অগ্রাহ্য করা উচিত।
17. ফিল্ডিং দলেরা কিসের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে?
- খেলোয়াড়দের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে
- স্টেডিয়ামে দর্শকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে
- নিজ দলের কোচের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে
- বলের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে
18. ম্যাচের পরে কি করা উচিত?
- ম্যাচের পরে বিজয়ী দলের উদযাপন করতে হবে।
- ম্যাচের পরে অবিলম্বে মাঠ ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত।
- ম্যাচের পরে শুধু নিজের দলের সাথে আলোচনা করা উচিত।
- ম্যাচের পরে খেলোয়াড়দের প্রতি সম্মান জানিয়ে হাত মেলানো উচিত।
19. ক্রিকেটে অসংবিধানিক আচরণ কী?
- মাঠে অশোভন ভাষা ব্যবহার
- খেলাধুলার প্রতি অসম্মানজনক আচরণ
- আক্রমণাত্মক প্রতিক্রিয়া জানানো
- প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানকে অপমান করা
20. সমর্থনকারী কর্মী এবং দর্শকদের প্রতি কিভাবে আচরণ করা উচিত?
- চিৎকার ও বিরক্তি
- সমালোচনা ও অপমান
- অশালীনতা ও কৌতুক
- সৃষ্টিশীলতা ও সহযোগিতা
21. আইসিসির প্লেয়ার আচরণের নিয়মাবলী কি?
- স্থানীয় খেলার নিয়ম
- দেশের আইন
- বিসিসিআইয়ের নিয়মাবলী
- আন্তর্জাতিকের খেলোয়াড় আচরণবিধি
22. আইসিসি আচরণ বিধির গুরুতর অপরাধের শ্রেণীবিভাগ কী?
- গুরুতর অপরাধের শ্রেণীবিভাগ চারটি
- গুরুতর অপরাধের শ্রেণীবিভাগ তিনটি
- গুরুতর অপরাধের শ্রেণীবিভাগ একটিই
- গুরুতর অপরাধের শ্রেণীবিভাগ দুইটি
23. আইসিসি আচরণ বিধির লেভেল ১ অপরাধের জন্য শাস্তি কী?
- ম্যাচ ফি-এর ০% থেকে ৫০% জরিমানা
- জীবনব্যাপী নিষেধাজ্ঞা
- নিষিদ্ধ হওয়া ১ টেস্ট বা ২ ওডিআই
- ম্যাচ ফি-এর ১০% থেকে ২০% জরিমানা
24. আইসিসি আচরণ বিধির লেভেল ২ অপরাধের জন্য শাস্তি কী?
- ম্যাচ ফি’র ৫০% থেকে ১০০% জরিমানা এবং/অথবা ১ টেস্ট অথবা ২ ওডিআই স্থগিত।
- ম্যাচ ফি’র ০% থেকে ৫০% জরিমানা।
- ম্যাচ ফি’র ১০০% জরিমানা এবং লাইফ সাসপেন্ড।
- ৬ টেস্ট বা ১২ ওডিআই নিষেধাজ্ঞা।
25. আইসিসি আচরণ বিধির লেভেল ৩ অপরাধের জন্য শাস্তি কী?
- ০% থেকে ৫০% ম্যাচ ফি জরিমানা
- ৬টি টেস্ট বা ১২টি ওডিআই নিষেধাজ্ঞা
- ২টির বেশি ম্যাচ নিষিদ্ধ
- ৫০% থেকে ১০০% ম্যাচ ফি জরিমানা
26. আইসিসি আচরণ বিধির লেভেল ৪ অপরাধের জন্য শাস্তি কী?
- ১০ ম্যাচে নিষেধাজ্ঞা
- ৬ টেস্ট পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা
- ৫০% থেকে ১০০% ম্যাচ ফি জরিমানা
- ২০ ওডি থেকে জীবনকাল পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা
27. সিদ্ধান্তের জন্য আবেদন করার সময় একজন খেলোয়াড়ের আচরণ কেমন হওয়া উচিত?
- সব সময় নিজের ও দলের জন্য দায়িত্বশীল আচরণ করা উচিত।
- প্রতিপক্ষের প্রতি অসম্মানজনক আচরণ করা উচিত।
- দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা উচিত।
- অধিনায়কে উপেক্ষা করা উচিত।
28. আম্পায়ার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অধিনায়কের দায়িত্ব কি?
- আম্পায়ারকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করা উচিত।
- অধিনায়ককে সিদ্ধান্তের সাথে খেলতে সাহসী হওয়া উচিত।
- আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে সম্মান করা উচিত।
- সদস্যদের সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা করার জন্য আম্পায়ারকে দোষ দেওয়া উচিত।
29. বোলাররা তাদের রান-আপ মার্ক করার সময় কি করতে হবে?
- স্টাম্পের কাছে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে।
- বল তাড়াতাড়ি অধিনায়কের কাছে পাঠাতে হবে।
- মাঠের উপর ঘাস বা পৃষ্ঠকে ক্ষতি করতে হবে না।
- একটি নতুন bóng ব্যবহার করতে হবে।
30. একটি ম্যাচের পরে কি করা উচিত?
- ম্যাচ শেষে টিভি দেখা উচিত।
- ম্যাচ শেষে গোলাপ দেওয়া উচিত।
- ম্যাচ শেষে একে অপরের সঙ্গে হাত মেলানো উচিত।
- ম্যাচ শেষে জোর করে বিতর্ক করা উচিত।
কুইজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে
ক্রীড়া দক্ষতা, শিষ্টাচার ও ভদ্রতা নিয়ে আমাদের ‘ক্রিকেটের ভদ্রতা ও শিষ্টাচার’ কুইজটি সম্পন্ন হয়েছে। এটি একটি মজার ও শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা ছিল। এখানে অনেক বিষয়ের ওপর দৃষ্টি দেয়ার সুযোগ পাওয়া গেছে। বিশেষ করে খেলার প্রতি পছন্দ এবং প্রতিপাদ্যগুলোর উপর উপলব্ধি বৃদ্ধি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কুইজটি সাধারণভাবে ক্রিকেটের মূল্যবোধ ও খেলার নিয়মাবলী সম্পর্কে জানার জন্য সহায়তা করেছে। আপনি হয়তো খুঁজে পেয়েছেন কিছু নতুন ধারণা, যা খেলার মাঠে আচরণের ক্ষেত্রে কাজে লাগবে। ভদ্রতা কেবল একজন খেলোয়াড়ের চরিত্র নয়, এটি পুরো দলের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমও। অবশেষে, এটি প্রতিপাদ্য করে যে, শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার মাধ্যমে একটি মিলনমেলা গড়া সম্ভব।
আপনার যদি আরো জানতে আগ্রহী থাকেন, তবে আমাদের এই পৃষ্ঠার পরবর্তী বিভাগে যান। সেখানে ‘ক্রিকেটের ভদ্রতা ও শিষ্টাচার’ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। এটি আপনাকে আরও গভীর উপলব্ধি দেবে এবং এই মহৎ ক্রীড়া নিয়ে আপনার জ্ঞানকে প্রসারিত করবে। আমাদের সাথে থাকুন, আরও শেখার জন্য প্রস্তুত থাকুন!
ক্রিকেটের ভদ্রতা ও শিষ্টাচার
ক্রিকেটের ভদ্রতা: সংজ্ঞা ও গুরুত্ব
ক্রিকেটের ভদ্রতা হলো খেলাধুলার প্রতি সদিচ্ছা ও শিষ্টাচারের সম্মানজনক রূপ। এটি প্রতিটি খেলোয়াড়ের মধ্যে একে অপরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন, খেলার নিয়ম মেনে চলা এবং সততার মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়। ভদ্রতা ক্রিকেট খেলাকে আরও আকর্ষণীয় এবং গ্রহণযোগ্য করে তোলে, যা দর্শকদের জন্য উদাহরণ তৈরি করে। দলের মধ্যে ঐক্য, খেলার প্রতি নিষ্ঠা এবং সততার মান বজায় রাখার মাধ্যমে ভদ্রতার গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়।
ক্রিকেটে শিষ্টাচার: খেলার নিয়মাবলী
ক্রিকেটে শিষ্টাচার এক ধরনের আচরণ বিধি, যা সকল খেলোয়াড়দের জন্য আবশ্যক। উদাহরণস্বরূপ, প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়, আম্পায়ার এবং দর্শকদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা। রান নেয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা, বল ছুঁলে এবং আউট হলে সঠিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো শিষ্টাচারের অংশ। শিষ্টাচার বজায় রেখে, খেলোয়াড়েরা খেলার সৌন্দর্য রক্ষা করে এবং খেলা সুন্দরভাবে এগিয়ে নিয়ে যায়।
ক্রিকেটের ভদ্রতার উদাহরণসমূহ
ক্রিকেটের ভদ্রতার উদাহরণ হিসেবে খেলার সময় প্রতিপক্ষকে অভিনন্দন করা, আউট হলে সন্মানজনকভাবে মাঠ ত্যাগ করা এবং আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান প্রদর্শন অন্তর্ভুক্ত। খেলোয়াড়দের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা, এবং মাঠের বাইরে নিজ নিজ দলের সাফল্যের জন্য সমর্থন করা ভদ্রতার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই ধরনের আচরণ, খেলোয়াড়দের একে অপরের প্রতি সম্মান জানানোর একটি উপায় হিসেবে কাজ করে।
ভদ্রতা এবং শিষ্টাচারের প্রভাব: সামাজিক দিক
ক্রিকেটের ভদ্রতা ও শিষ্টাচার ক্রীড়া পরিবেশকে স্বাস্থ্যকর করে। এটি খেলোয়াড়দের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা এবং বন্ধুত্বকে উৎসাহিত করে। দর্শকরা যখন ক্রীড়ার এই মূল্যবোধগুলি দেখেন, তখন তারা সেটি নিজেদের জীবনে প্রয়োগের মধ্যে উদ্বুদ্ধ হন। সুতরাং, শিষ্টাচার কার্যকরভাবে যুবকদের মধ্যে নৈতিক শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়ার একটি উপায় হতে পারে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভদ্রতা সংক্রান্ত সমস্যা
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভদ্রতা সংক্রান্ত কিছু সমস্যা দেখা দেয়, যেমন চলতি সময়ের কিছু খেলোয়াড়ের আক্রমণাত্মক আচরণ। এই ধরনের পরিস্থিতি খেলার চেতনাকে ক্ষুণ্ণ করে এবং দলগুলোর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করে। উদাহরণস্বরূপ, কিছু খেলোয়াড় আক্রমণাত্মক রূপে প্রতিবাদ জানাতে পারেন, যা শিষ্টাচার লঙ্ঘন হিসাবে গণ্য হয়। তবে, ভদ্রতা এবং শিষ্টাচারের গুরুত্ব তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ক্রিকেটের ভদ্রতা ও শিষ্টাচার কী?
ক্রিকেটের ভদ্রতা ও শিষ্টাচার হল সেই নৈতিক নীতি ও আচরণ যা ক্রিকেট খেলাকে সম্মানিত করে। এর মধ্যে খেলোয়াড়দের পারস্পরিক শ্রদ্ধা, প্রতিপক্ষের প্রতি সম্মান, এবং দায়িত্বশীল আচরণের অন্তর্ভুক্ত। উদাহরণস্বরূপ, বাজে সিদ্ধান্তে অশোভন প্রতিক্রিয়া দেখানো, বা প্রতিপক্ষের সদর্থক খেলার প্রশংসা না করা, ভদ্রতায় অভাব নির্দেশ করে।
ক্রিকেটে ভদ্রতা ও শিষ্টাচার কিভাবে পালন করা হয়?
ক্রিকেটে ভদ্রতা ও শিষ্টাচার পালন করা হয় খেলোয়াড়দের আচরণ দ্বারা। প্রতিযোগিতার সময় সততা বজায় রাখতে হয়। উদাহরণস্বরূপ, খেলোয়াড়দের উচিত মাঠে থাকা যত্নশীল এবং নিজেদের আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখা। আচরণবিধির কারণে খেলোয়াড়দের অশোভন কথাবার্তা এবং অহংকারী আচরণ নিষিদ্ধ।
ক্রিকেটের শিষ্টাচার কোথায় উল্লেখ করা হয়েছে?
ক্রিকেটের শিষ্টাচার আইসিসি (ICC) দ্বারা নির্ধারিত নিয়মাবলীতে উল্লেখ আছে। আইসিসির আচরণবিধি খেলোয়াড়দের কাছে আশা করে যে তারা সম্মানজনকভাবে প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। খেলোয়াড়দের জন্য নির্ধারিত নির্দেশনাগুলি এই শিষ্টাচারকে নির্দেশ করে।
ক্রিকেটে শিষ্টাচার কখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয়?
ক্রিকেটে শিষ্টাচার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচের সময়। খেলোয়াড়দের মধ্যে চাপ এবং আবেগ থাকলেও, তাদের উচিত শিষ্টাচার বজায় রাখা। এটি বিশেষত শেষ overs এবং টুর্নামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে লক্ষ্যণীয়।
ক্রিকেটের ভদ্রতা ও শিষ্টাচার কে নজরদারি করে?
ক্রিকেটের ভদ্রতা ও শিষ্টাচার নজরদারি করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC) এবং বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বোর্ড। তারা নিয়মিতভাবে খেলোয়াড়দের আচরণ মূল্যায়ন করে এবং প্রয়োজন হলে শাস্তি প্রদান করে। উদাহরণস্বরূপ, অশোভন আচরণের কারণে খেলোয়াড়কে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হতে হতে পারে।